বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: বাঘারপাড়ায় নতুন ট্রেন লাইনের রাস্তা নির্মানে ব্রিজ না রাখায় জামদিয়া ইউনিয়নের ভিটাবল্যাহ মাঠসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের দাবিতে রোববার সকালে তেঘরি মাঠে এলাকাবাসী মানব বন্ধন করেছে।

মানব বন্ধনে এসময় এলাকাবাসীর সাথে উপ¯ি’ত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিথিকা বিশ্বাস । সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিজের বসতবাড়ি ছেড়েছে ১০টি পরিবার। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যব¯’া না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে জামদিয়া ইউনিয়নের ভিটাবল্যাহ ও তেঘরি গ্রামের মানুষ। টানা বৃষ্টির প্রভাবে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ডুবে যাওয়া প্রত্যেক বাড়ির উঠানে হাটু বা কোমর সমান পানি। শোয়ারঘর রান্নাঘর গোয়ালঘর ও জ্বালানীঘরে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও কাঁচাঘরগুলো হেলে পড়েছে। তিন দিন ধরে হাঁস-মুরগিরও কোনো খবর নেই। ভিটাবল্লা গ্রামের হাছান মোল্লা জানান, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে তার পরিবার। তিনদিন ধরে তারা বাড়ি ছাড়া। তিনি আরও বলেন, ঘরের ধান-চাল সরাতে পেরেছি, কিš‘ জ্বালানী বাঁচাতে পারিনি। একই গ্রামের ওলিয়ার রহমান বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে আমাদের গ্রামের ১শ’৫০ পরিবার পানিবন্দি। আমার পোল্ট্রিঘর ও গোয়লঘরে পানি। আরদুই দিন বৃষ্টি হলে আমার সবকিছু ডুবে যাবে। জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল জানান, ট্রেন লাইনে ব্রিজ নির্মানের জন্য গত বছর উপজেলা পরিষদের সভায় উপ¯’াপনা করি, এলাকার জনগন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছে। কোন কাজে আসিনি। তিনি আরো জানান,ইতোমধ্যে ভাংগুড়া, কমলাপুর, ঘোড়ানাছ, চকেরডাংগাসহ আশপাশ পানির নিচে তলিয়েছে। এখনি ব্যব¯’া না নিলে আমন বীজতলা ঘরবাড়ী মারাত্বক ক্ষতিগ্র¯’ হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ জানিয়েছেন, রেল লাইনের কারণে জলাব্ধতা নিয়ে ডিসি স্যার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যারকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই কার্যক্রম শুরু করা হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন মোবাইলে ফোনে জানিয়েছে, নতুন মির্মানাধীন রেল লাইনের কারণে অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার সব ব্যব¯’ায় নেওয়া হবে।